• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

`নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ভবন চাই`

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০১৯  

‘নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ভবন চাই-এর কোন বিকল্প নেই’-এমন দাবি উঠেছে প্রবাসে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের জন্যে ভবন খোঁজা হচ্ছে। সেটি জাতিসংঘের আশপাশে অথবা মিড টাউন ম্যানহাটানে হতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনের জরুরি নির্দেশ রয়েছে নিজস্ব ভবনে কন্স্যুলেট স্থাপনের। এমন একটি নির্দেশ এক দশক আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। কিন্তু ভবন পাওয়া যাচ্ছে না এমন অজুহাতে সে নির্দেশ ঝুলে রয়েছে।

সর্বশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই ড. মোমেন বিষয়টি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা জানিয়েছেন।

গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানকালে বাংলাদেশ মিশনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এমন একটি ভবন ক্রয় করতে হবে যেখানে থাকবে কন্সাল জেনারেলের অফিস, সোনালী এক্সচেঞ্জের অফিস, যদি বিমান নিউইয়র্কে আসে তাহলে কান্ট্রি ম্যানেজারের অফিস, কমিউনিটি সেন্টার, লাইব্রেরী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে একটি গবেষণাগার এবং সেই ভবনের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা এক যুক্ত বিবৃতিতে নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ স্থাপনের পুরনো দাবিটি আবারো সামনে এনেছেন। তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেয়ার জন্য। কয়েকমাস আগে মুুক্তিযোদ্ধারা নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার কাছে দেয়া এক স্মারকলিপিতেও ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’র প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে অবিলম্বে তা বাস্তবায়িত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

তারা জানান, আর্থিক কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা অফিসের উচ্চ পর্যায়ের কেউ কেউ ভবনের ফ্লোর (জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের মত) ক্রয়ের পরামর্শ দিচ্ছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এটা করলে প্রবাসীদের স্বপ্নের ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ কখনই নিউইয়র্কে স্থাপন করা সম্ভব হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ একটি ভবন ক্রয়ের জন্যে। টাকার অংক বেশি মনে হলেও প্রকারান্তরে সেটি বিনিয়োগের সামিল হবে। এছাড়া, গত ৪৪ বছরে কন্স্যুলেট অফিসের জন্যে যে ভাড়া দেয়া হয়েছে, তা একত্রিত করলে এককালিন ভবন ক্রয়ের বিষয়টি সহজ হবে।

বিবৃতি প্রদানকারিদের মধ্যে রয়েছেন বীর প্রতীক খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সিতারা রহমান, ক্যাপ্টেন (অব:) মঈনউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন্নবী, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে, নিউইয়র্কে কন্সাল জেনারেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, খুবই গুরুত্বের সাথে একটি ভবন খোঁজা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথেও যোগাযোগ রয়েছে। বন খোঁজা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথেও যোগাযোগ রয়েছে। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ