• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘লাল মামুনিয়া’র লালের শোভা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০১৯  

সবুজ প্রকৃতিতে লালের অংশ। ছুটছে এদিক-ওদিক। তারপর কিছুক্ষণের বিরতি। দূর থেকে দেখে মনে হয়– এ যেন রক্তিম উজ্জ্বতার অনন্য এক মৃদু ঝলক।

সারাবছরের একটা বিশেষ সময়ে তাদের শরীর আরও লাল হয়ে যায়। কারণ তখন তাদের প্রজনন মৌসুম। ছেলে এবং মেয়ে পাখিটির প্রাকৃতিক মিলনপর্ব। তখন বিশেষত ছেলে পাখিটির শারীরিক সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়।
 
এই শারীরিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে মেয়ে পাখিটি তার দিকে ছুটে আসে বলে জানান পাখি গবেষক।
 
প্রজনন মৌসুমের চমক নিয়ে প্রকৃতিতে ছুটোছুটি করছে ‘লাল মামুনিয়া’। এর ইংরেজি নাম- Red Avadavat অথবা Red Munia এবং বৈজ্ঞানিক নাম Amandava amandava
 
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, প্রকৃতির রাজ্যে বিশেষত পুরুষ পাখিরাই অপেক্ষাকৃত সুন্দর। পুরুষ পাখিটির শারীরিক সৌন্দর্য আর অপূর্বভাবে গান পরিবেশনের ক্ষমতায় মেয়ে পাখিটি অবশেষে তার কাছে ধরা দেয়। এটি প্রজনন মৌসুমের বিশেষ একটি ক্ষমতা। তবে সারাবছর অনুজ্জ্বল থাকে পুরুষ পাখিটির এ শারীরিক সৌন্দর্য।
 
ইনাম আল আরও বলেন, ‘লাল মামুনিয়া’ আমাদের দেশের বিরল আবাসিক পাখি। সচরাচর দেখা যায় না। পাখিটি দেখতে অনেকটা চড়ুই পাখির মতো। প্রায় ১০ সেন্টিমিটার। ছেলে পাখিটির দেহ লাল এবং দেহজুড়ে সাদা তিলা রয়েছে। আর মেয়ে পাখিটির দেহ বাদামী এবং পাখনার দিক কালো। তবে কোমর লাল। ‘সিপ’ ‘সিপ’ ‘সিপ’ স্বরে জোরালোভাবে ডাকে এরা।
 
Amandava Blyth ‘গণ’ এর আওতাভুক্ত পৃথিবীতে তিন প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে মাত্র এক প্রজাতির লাল মামুনিয়া পাখিটি পাওয়া যায় বলে জানান প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ