• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কুকুর কামড় দিলে যা করবেন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০১৯  

অনেকেই বাড়িতে ভালোবেসে বা প্রয়োজনে কুকুর পোষেন। কিন্তু কুকুর ভালোবাসলেও এর কামড়ের প্রভাব কিন্তু সবার শরীরেই সমান। তাই কুকুরের কামড় থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও কামড়ানোর পরেও কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়। কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের ভয় ছাড়াও ক্ষতস্থানে জ্বালা তৈরি হয় ফলে তাতে অন্য সংক্রমণও খুব দ্রুত ছড়ায়।

এছাড়া কুকুরের কামড় খুব যন্ত্রণাদায়কও। তাই এর জ্বালা পোড়ার যত্নের পাশাপাশি ব্যথা কমানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। কুকুর কামড় দিলে শুধু র‍্যাবিস ভাইরাসের ইঞ্জেকশন নিলেই সমাধান হয় না। আরো যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা জেনে নিন।

কুকুর কামড় দিলে প্রথমেই ক্ষতস্থান চেপে ধরুন। রক্ত যত তাড়াতাড়ি বন্ধের ব্যবস্থা করা যাবে, ততই ভাল। তবে প্রথমেই রক্ত বন্ধ করতে কোনো রকম কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না। ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে কোনো রকম সুগন্ধি সাবান ব্যবহার করবেন না। তবে পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন। আবার অ্যান্টিবায়োটিক লোশন দিয়েও তা পরিষ্কার করতে পারেন।

এই সময় খুব ক্ষতস্থান বেশি ঘষবেন না। যতটুকু না করলে ভাইরাস যায় না। ততটুকুই ঘষুন। এবার অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল কোনো লোশন বা অ্যান্টিবায়োটিক অয়েনমেন্ট লাগিয়ে পরিষ্কার গজ কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন জায়গাটা।

এরপর দ্রুত কাছের হাসপাতালে যান। র‍্যাবিস ভাইরাস কমাতে ইঞ্জেকশনের পাশাপাশি টিটেনাশ ইঞ্জেকশনও নিতে হতে পারে। কুকুর কামড় দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই দুটি ইঞ্জেকশন নিতে হবে।

র‍্যাবিসের একটি নির্দিষ্ট কোর্স আছে। তার প্রথমটি যেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেয়া হয়। এরপর কোর্স অনুযায়ী ইঞ্জেকশন নিতে হবে।

ওষুধের পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন কামড়ের ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হবে। ধুলোবালি কোনো ভাবেই লাগানো যাবে না।

কামড় দেয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যে অসুখে কুকুরটি মারা গেলে চিকিৎসককে জানান।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ