মৌলভীবাজারে মৌ-চাষে ভাগ্যবদল অনেকের
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় মৌলভীবাজার জেলার ছোট ছোট পাহাড় ও টিলা বেষ্টিত কমলগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী বনজ এবং ফলজ বৃক্ষে সমৃদ বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে মধু চাষ। বিশেষ করে এই মধু চাষের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন এলাকার বেশিরভাগ নারীরা। বাড়তি খরচ ছাড়াই একবার পূঁজি খাটিয়ে বারবার আয় করা যায় এই খাত থেকে। মধু বিক্রি করে সংসারের বাড়তি আয়ের যোগান দিচ্ছেন এলাকার প্রায় ৫০০ পরিবার। বেকারত্ব কমার পাশাপশি আর্থিক স্বচ্ছলতাও এসেছে চাষীদের ঘরে।
জানা যায়,কমলগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালকান্দি গ্রামের মধু শিকারি আজাদ মিয়ার হাত ধরে প্রায় দুই যুগ পূর্বে এই এলাকায় শুরু হয় মধু চাষ। ১৯৯৬ সালে আজাদ মিয়া পাহাড়ী বনের ভেতর পেয়ে গেলেন এক নতুন পথের সন্ধান। একদিন বনের ভেতর দেখা পেলেন মৌচাকের, সাথে রানি মৌমাছি। কৌশলে সেই রানিকে ধরে একটি স্থানে সুতা দিয়ে বেঁধে রাখেন। দশ-পনেরো মিনিটের মধ্যে অনেক পোকা (মৌমাছি) সেই রানির কাছে ছুটে আসে। তা দেখে সেই রানিকে বাড়িতে এনে একটি কাগজের বাক্সে রাখলেন। কয়েকদিনের মধ্যে সেই বাক্স ও বাক্সের আশপাশ মৌমাছির গুঞ্জনে সরব হয়ে ওঠে। চার মাসের মধ্যেই বাক্স থেকে মধু আহরণও করলেন। সেই থেকে আজাদ মিয়ার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে লাগলো।
আজাদ মিয়া বলেন, তিনি নিঃস্ব ছিলেন এখন অনেক সুখে আছেন, ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করাতে পারছেন কমে গেছে তার আর্থিক টানাপোড়েন।
এদিকে মৌ চাষের খবর ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে এলাকায়। বাতাসে মৌমাছির গুঞ্জণ, মধুর ঘ্রাণ। আজাদ মিয়া মৌ-চাষ পদ্ধতি বাড়ানোর লক্ষ্যে পাহাড় থেকে রাণী মৌমাছি সংগ্রহ করে কাঠের বাক্সে সেই রাণী এবং মৌমাছির কলোনী বিক্রি শুরু করেন। ইতোমধ্যেই এই চাষের প্রসার ঘটেছে বহুগুণ এবং সমৃদ্ধি এসেছে চাষীদের ঘরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এলাকায় বিভিন্ন বাড়ির উঠোনের কোণে-আঙ্গিনায় একটা দুইটা বা তারও বেশি মৌমাছির বাক্স রয়েছে। পরিবারের মহিলারাই মূলত এগুলো দেখভাল করেন। মৌমাছি চাষে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হয় না। বাড়ির আঙ্গিনায় মৌমাছির বাক্স (মৌমাছির কলোনি) স্থাপন করে পিপঁড়াসহ অন্যান্য পোকামাকড়ের হাত থেকে একে রক্ষা করলেই বছরে দুই থেকে তিনবার মধু সংগ্রহ করা যায়। ফুল ফলের মৌসুমে বেশি মধু পাওয়া যায়।
কমলগঞ্জের উপজেলার আদমপুর, মাধবপুর, ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি, মধ্যভাগ, উত্তর ভাগ, নৈনারপাড়, জালাল পুর, ছয়ঘড়ি, ভানুবিল, নোয়া গাঁওসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় পাঁচশত পরিবার ইতোমধ্যে মধুচাষের সাথে যুক্ত হয়েছে। কর্মসংস্থানসহ পরিবারে বাড়তি আয়ের ক্ষেত্র তৈরী করেছে মৌচাষ।
কাঁঠালকান্দি গ্রামের গৃহবধূ ফুলু বেগম জানান, স্বামীর আয়ে সংসার চলত না, অনেক টানাপোড়েন ছিল। মধুচাষে যুক্ত হবার পর তাদের আয় বেড়েছে, কমেছে অভাব অনটন।
উত্তরভাগ গ্রামের মধুচাষী আব্দুল মোছাব্বির তালুকদার বলেন, সাতবছর আগে একটি বাক্স (মৌমাছির কলোনী) দিয়ে চাষ শুরু করেন তিনি বর্তমানে তার আটটি বাক্স রয়েছে। তিনি আরও বাক্স বাড়াতে চান। বছরে একটি বাক্স থেকে সর্বোচ্ছ পঁচিশ লিটার মধু পাওয়া সম্ভব। প্রতি লিটার মধু তারা আটশত থেকে নয়শত টাকায় বিক্রি করেন।
কোনাগঁও গ্রামের মঙ্গল মিয়া বলেন, আমার বাড়িতে ৭টি মধুর কাচা আছে। এগুলো বেশি দেখা শোনা করেন আমার স্ত্রী।
মধুচাষী উন্নয়ন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোতালিব জানান, তারা বর্তমানে দেশী প্রজাতির Apis Sarana বা দাশকুলি প্রজাতির মৌমাছির চাষ করছেন। এই মৌমাছির চাক থেকে বছরে দুইবার মধু আহরণ করা যায় এবং প্রতিটি চাক থেকে বছরে বিশ থেকে পঁচিশ লিটার মধু পাওয়া যায়। তবে এর চাইতেও লাভজনক মৌমাছি হচ্ছে আফ্রিকান Apis Mellifera প্রজাতি। বিদেশ থেকে এই মাছি কিনে আনতে হয়। আর্থিক কারণে তারা এই মৌমাছি কিনতে পারছেন না।
মধু চাষের এই উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আধুনিক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন বলে জানান, মধুচাষী উন্নয়ণ সমিতির সভাপতি আলতাফ আহমদ তালুকদার(বাবুল)। তিনি বলেন, মধু চাষের সঙ্গে দিনদিন মানুষ যুক্ত হচ্ছে। তাদের সুদবিহীন ও স্বল্প সুদের ঋণ দেয়া দরকার। সরকার থেকে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশে মধুর চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে।
শিল্প সহায়ক কেন্দ্র বিসিক মৌলবীবাজারের উপ-ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকজন মধু চাষীকে তারা স্বল্প টাকার ঋণ, প্রশিক্ষণ এবং বিনা মূলে বক্স দিয়েছেন। যারা এখনও প্রশিক্ষণ নেয়নি তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যাবস্থা করবেন। এবং তাদের তদারকি সব সময় অব্যাহত রয়েছে।
- গোপালগঞ্জে নতুন জাতের ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান চাষাবাদে বাজিমাত
- গোপালগঞ্জের শ্রেষ্ঠবিদ্যাপীঠ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ
- ইব্রাহিম রাইসির নেতৃত্ব উদাহরণযোগ্য, শোকবার্তায় শেখ হাসিনা
- বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি শুরু ২৬ মে
- কাশিয়ানীতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- গোপালগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষকসহ নিহত ৪
- গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
- গোয়ালে আগুন, প্রতিবন্ধী কৃষকের ৩ গরু পুড়ে ছাই
- উপজেলা নির্বাচন
সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন - উপজেলা নির্বাচন: ২ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন
- ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই: ইসি আলমগীর
- ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : কাদের
- সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট
- রাইসির মৃত্যুতে বিশ্ব নেতাদের শোক
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের
- ২৫মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন
- বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত
- বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে
- তরুণদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে - মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
- ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা
- এসএমই মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর থেকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার নিলেন ৭জন
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব