টাকার অভাবে মাঝপথেই ফিরে যেতে হয় ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ব্যয় বহন করতে না পেরে চিকিৎসা শেষ না করেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু ক্যান্সার বিভাগের বেশিরভাগ রোগীকেই ফেরত যেতে হয়। প্যাথলজি টেস্ট, কেমোথেরাপি ও ব্লাড টেস্টসহ অন্যান্য খরচ চালাতে হিমশিম খায় দরিদ্র পরিবারগুলো। প্রাথমিকভাবে ধরা পড়া ক্যান্সার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও টাকার অভাবে মাঝপথে ফিরে যাওয়া শিশুরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলে এসব শিশুর ক্যান্সার থেকে বাঁচানো যেত।
ঢামেক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে হাসপাতালের শিশু ক্যান্সার ওয়ার্ডে ৭৩৭ জন শিশু রোগী চিকিৎসা নেয়। যার মধ্যে মারা যায় ১৫৭ জন। চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানায় ৮৭ জন। আংশিক চিকিৎসা নেওয়ার পর চলে যায় ২৬১ জন এবং পূর্ণ চিকিৎসা নেয় ৯৪ জন শিশু। এখন ২৯৭ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
ঢামেকের শিশু ক্যান্সার বিভাগে গিয়ে জানা যায়, সেখানে যেসব শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের বেশিরভাগ পরিবারই দরিদ্র। যাদের পক্ষে ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ চালানো অসম্ভব। হাসপাতাল থেকে বেড, চিকিৎসাসেবা, নার্স, খাবার ও বিনামূল্যে কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্যাথলজি টেস্ট, কেমোথেরাপি, ব্লাড টেস্টসহ অন্যান্য খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারগুলো। বেশিরভাগ পরিবার চিকিৎসা শেষ না করেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এতে আক্রান্ত শিশুরা নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
রাঙামাটি থেকে কন্যাশিশু ইনফ্রাকে নিয়ে ঢামেকের শিশু ক্যান্সার ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন মা কোহিনুর বেগম। শিশুটির মুখে টিউমার। মা কোহিনুর বলেন,‘মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে। সে টাকা খরচ করার সাধ্য আমার নেই, তাই আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই।’
ঢামেকের চিকৎসকরা জানান, ক্যান্সার কোনও সাধারণ রোগ নয়। এর জন্য বিশেষ চিকিৎসা দিতে হয়। এখন দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা চালু হয়েছে। দেশি কোম্পানিগুলো কিছু ওষুধ তৈরি করছে, যার গুণগত মানও ভালো। সরকারিভাবেও কিছু ওষুধ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। এটা একটি আশার দিক। তবে চাহিদার তুলনায় এটা পর্যাপ্ত নয়।
ঢামেক হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু। তিনি ও তার দল ১৭টি বেডের শিশুর চিকিৎসা করান। তিনি জানান, এখানে এমন অনেক রোগী আছে যাদের জন্মের দিনই ক্যান্সার ধরা পড়েছে। শিশুদের ক্যান্সারের মধ্যে রয়েছে— ব্লাড ক্যান্সার একিউট লিউকেমিয়া, ব্রেন টিউমার, লিম্ফোমা, কিডনির টিউমার, ঘাড়ের টিউমার, মাংস পেশির টিউমার, লিভারের টিউমার প্রভৃতি। ৫-১০ ভাগ শিশুর ক্যান্সার জেনেটিক। পরিবেশগত কারণে আক্রান্ত হয় ১০ ভাগ। ৭৫ ভাগ ক্যান্সারের কারণ এখনও জানা যায়নি।
ঢামেক চিকিৎসকরা বলেন, এখানে কোনও রোগী আসলে তাকে দীর্ঘদিন থাকতে হয়। আমরা সাধারণত যেসব রোগী পাই, তাদের বেশিরভাগ বাবা-মায়ের হাতে তেমন অর্থ থাকে না। চিকিৎসা খরচ চালাতে পারে না, কান্নাকাটি করে। এই দৃশ্য অসহনীয়। কিন্তু আমাদের কিছুই করার থাকে না। শিশুদের ক্যান্সার চিকিৎসার বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার।
শিশু ক্যান্সার বিভাগের অধ্যাপক ডা. জোহ্রা জামিলা হক বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শিশু ক্যান্সার ওয়ার্ডে ১৭টি বেডে রোগী আছে ৪৫ জন। প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক কম। কখনও কখনও জায়গার অভাবে কেবিনে শিশুকে ভর্তি করতে হয়। কেবিনে রোগী রাখলে চিকিৎসকদের সমস্যা হয়। ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ চিকিৎসা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই সামাজিকভাবে আর্থিক সহায়তার জন্য কেউ এগিয়ে আসলে খুব ভালো হয়। ব্লাড, প্লাটিলেট, এন্টিবায়োটিক এগুলো রোগীকে দিতেই হয়। এন্টিবায়োটিক সরকারের কিছু সাপ্লাই থাকে। কিছু ওষুধ রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হয়।
বাংলাদেশ হেলথ রাইটস মুভমেন্ট এর প্রেসিডেন্ট ডা. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘সরকারের পক্ষে ক্যান্সার রোগীকে সম্পূর্ণ ট্রিটমেন্ট দেওয়া সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তশালীরা যদি এগিয়ে আসে তবে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। ঢাকা মেডিক্যালের এই বিভাগ সরকারের অনুমতি নিয়ে জাকাত ফান্ড থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।’
- ইব্রাহিম রাইসির নেতৃত্ব উদাহরণযোগ্য, শোকবার্তায় শেখ হাসিনা
- বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি শুরু ২৬ মে
- কাশিয়ানীতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- গোপালগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষকসহ নিহত ৪
- গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
- গোয়ালে আগুন, প্রতিবন্ধী কৃষকের ৩ গরু পুড়ে ছাই
- উপজেলা নির্বাচন
সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন - উপজেলা নির্বাচন: ২ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন
- ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই: ইসি আলমগীর
- ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : কাদের
- সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট
- রাইসির মৃত্যুতে বিশ্ব নেতাদের শোক
- উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন
- এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি
- সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
- বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের
- ২৫মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন
- বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত
- বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে
- তরুণদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে - মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
- ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা
- এসএমই মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর থেকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার নিলেন ৭জন
- কারখানার বর্জ্য যেন নদীতে না যায়: প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলের ভাড়ার উপর ভ্যাট আরোপ অযৌক্তিক: ওবায়দুল কাদের
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব